২১৩
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হলো ‘রূপসী বাংলা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। বেলা ১১টায় জাতীয় চিত্রশালা গ্যালারিতে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠানের সভাপতি শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন তারা। প্রদর্শনী শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
শিল্পকলা একাডেমি ও ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘ফটো সাংবাদিকরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তা অনেকেই অনুধাবন করতে পারেন না। ছবি থাকলে সংবাদ অধিক গ্রহণযোগ্য হয়। মুক্তিযুদ্ধের ছবি না থাকলে আজকের প্রজন্মরা তা জানতে পারত না। শুধু মুক্তিযুদ্ধ নয়, বাংলার স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলন—সব ছবি ফটো সাংবাদিকরা তুলেছিলেন বলেই আজকের প্রজন্মরা তা ভালোভাবে জানতে পারছে।’ পরে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব সালাহ উদ্দিন আহাম্মদ। ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ কুমার ঘোষ বক্তব্য দেন। ফটো সাংবাদিকদের ভূমিকা তুলে ধরেন তিনি।
লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘রূপসী বাংলা’য় অসাধারণ কনসেপ্ট নিয়ে কাজ করছেন ফটো সাংবাদিকরা। আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। ফটো সাংবাদিকরাও শিল্পী এবং শিল্পযোদ্ধা। আলোচনা পর্বের শুরুতেই সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করা হয়। লিয়াকত আলী লাকীর ভাবনা ও পরিকল্পনায় পরিবেশিত হয় যুদ্ধবিরোধী সমবেত নৃত্য ‘অবহেলায় মৃত্যু আর নয়’। নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পকলা একাডেমির শিশু-কিশোর নৃত্যশিল্পী। এরপর শুরু হয় পুরস্কার বিতরণ ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও সম্মাননা দেওয়া হয়। পরপর ঋত্বিক নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকীর ভাবনা ও পরিকল্পনা এবং রীতা নাহারের গ্রন্থনায় পরিবেশিত হয় কোরিওগ্রাফি ‘রোহিঙ্গানামা’। সমবেত নৃত্য ‘আজ যত যুদ্ধরাজ’ পরিবেশন করে একাডেমির নৃত্যশিল্পীরা।
‘রূপসী বাংলা’ আলোকচিত্র প্রদর্শনী ১৬ থেকে ২৫ নভেম্বর প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা এবং শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জাতীয় চিত্রশালার ২ নম্বর গ্যালারিতে প্রদর্শনী চলবে।