কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বসেছিল হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী জারি গানের আসর। সে আসর ঘিরে ছিল বিভিন্ন বয়সি মানুষের ভিড়। জারি গানের দলের পৃষ্ঠপোষকতার দাবি এলাকাবাসীর।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের আশুতিয়া পুরান বাজারে এ জারি গানের আসর বসে। আসরে পয়ার ছন্দে রচিত আখ্যানমূলক কারবালার পাঁচালি প্রদর্শন করে উপজেলার চরপলাশের জারি গানের দল।
আয়োজকরা জানান, গ্রামবাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতির অন্যতম বিনোদনের নাম জারি গান। তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারাতে বসা এ বিনোদন ফিরিয়ে আনতেই আসরের আয়োজন। অনেক দিন পর হওয়া জারি গানের আসরে ছুটে আসেন বিভিন্ন বয়সির দর্শক। এতে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগের শিশু-কিশোর জারি গান সম্পর্কে জানতে পেরেছে।
আয়োজক কমিটির সদস্য নাজমুল হাসান সুমন জানান, গ্রামেগঞ্জে যখন টেলিভিশন ও ইন্টারনেট ছিল না, তখন জারি গানই ছিল বিনোদনের মাধ্যম। গ্রামে রাতে জারি-সারি, বাউল গানের আসর বসতো। এগুলোর মাধ্যমেই গ্রামগঞ্জের মানুষ বিনোদন পেত।
গানের দলের অধিনায়ক আলী বয়াতি বলেন, পাকুন্দিয়া উপজেলা চরপলাশ এলাকার স্থানীয়দের নিয়ে ৪২ সদস্যের জারি গানের দল। এ জারি গান পূর্বপুরুষরা করে গেছেন। এটা ধরে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দলের বেশিরভাগই নতুন ছেলে। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করছি। নিয়মিতই শীত মৌসুমে জারি গানের আসরে দলের ছেলেরা গান পরিবেশন করবে। এ বছর পাঁচ আসরে আমার দল অংশ নিয়েছে।