কথাসাহিত্যিক মো. রেজাউল করিমের লেখা ‘সীমান্তের দুই পারে’ উপন্যাসের পাঠ উন্মোচন হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর হাতিরপুলে অনুপ্রাণন কার্যালয়ে এ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন লেখক, প্রকাশক, আলোচক ও সমালোচকরা।
পাঠক-শ্রোতার প্রশ্নের জবাব দেন মো. রেজাউল করিম। উপন্যাস রচনার পূর্বাপর ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, সব লেখকের জন্যই বাস্তবতা লিংক হিসেবে কাজ করে। কোন জায়গা থেকে শুরু করবেন, এই স্বাধীনতা লেখকের। কোনো একটা ‘টাচি’ জায়গা থেকে শুরু করেন লেখক, যাতে পাঠক আকৃষ্ট হন। উপন্যাসটি ডকু-ফিকশন বলে কাহিনির উত্থান-পতন হয়েছে। ফয়েজ নাকি ফয়েজের বাবা উপন্যাসের নায়ক— বিষয়টা পাঠকই ঠিক করুক।
বইটির প্রকাশক আবু এম ইউসুফ বলেন, বাংলা সাহিত্যে ইতিহাসনির্ভর উপন্যাস লেখা হয়েছে কমই। বিশেষ করে বাংলাদেশের সাহিত্যে দেশভাগের ওপরে উপন্যাস বলতে গেলে খুব কম। ‘সীমান্তের দুই পারে’ প্রকাশিত হলে শূন্যতা কিছুটা হলেও দূর হবে।
তিনি আরো বলেন, ছাত্রজীবনে বঙ্গবন্ধু কলকাতার বেকার হোস্টেলে থাকতেন। বেকার হোস্টেলের বিশদ বর্ণনা আছে এ উপন্যাসে।
বইটির ভূমিকা লিখেছেন কলকাতার প্রাবন্ধিক ও ডকুমেন্টারি ফিল্ম নির্মাতা সৌমিত্র দস্তিদার।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সাংবাদিক অনি আতিকুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন— কথাসাহিত্যিক মোজাম্মেল হক নিয়োগী, হুমায়ুন কবির, শৈলজানন্দ রায়, শাহীনুর আসিফ, আলোকচিত্রী এম হায়দার চৌধুরী, এম এইচ আকাশ, শিক্ষক তানিয়া সুলতানা, ডিএনসিসি কর্মকর্তা মামুন আর রশীদ, মনস্তত্ত্ববিদ জিয়ানুর কবির, কবি ও গল্পকার শফিক হাসান, সাংবাদিক সাজেদুর আবেদীন শান্ত, শৈল্পিক হুমায়ূনসহ অনেকে।