ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। তাদের অনেকের মরদেহ খুঁজে বের করতে বিশেষ এক পদ্ধতি হাতে নিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির একজন বন্য প্রাণিবিশেষজ্ঞ বলেছেন, মরদেহগুলো খুঁজতে মাংসখেকো পাখি ব্যবহার করা হচ্ছে।
ওই বিশেষজ্ঞের নাম ওহাদ হাৎজোফে। তিনি ইসরায়েলের প্রকৃতি ও উদ্যান কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা। ওহাদ জানান, মরদেহ খুঁজতে শরীরে ট্র্যাকিং ডিভাইস (শনাক্তকরণ যন্ত্র) লাগানো ইগল, শকুনসহ অন্য শিকারি পাখি কাজে লাগানো হচ্ছে। ওই যন্ত্র থেকে পাওয়া তথ্য মরদেহের অবস্থান শনাক্তে সহায়তা করছে।
পাখির মাধ্যমে মরদেহের অবস্থান শনাক্তের বুদ্ধি এঁটেছিল ইসরায়েলি বাহিনীর মানবসম্পদ শাখার ‘ইআইটিএএন’ নামের একটি দল
বিপন্ন গ্রিফন শকুন শনাক্তের একটি প্রকল্পের প্রধান ওহাদ। এই শকুনগুলো মূলত মৃত পশুপাখির মাংস খেয়ে বেঁচে থাকে। এ ছাড়া ওই প্রকল্পের আওতায় ইগলের মতো অন্য শিকারি পাখি নিয়েও কাজ করা হয়। সেগুলোও বেঁচে থাকতে মরদেহ খেয়ে থাকে।
গত ২৩ অক্টোবর এমনই একটি ইগল গাজা উপত্যকার কাছে ইসরায়েলের বেরি এলাকায় পাওয়া যায়। উত্তর রাশিয়ায় গ্রীষ্মকাল কাটিয়ে এক দিন আগে সেটি ইসরায়েলের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল। ওহাদ বলেন, তিনি ওই ইগলের শরীরে লাগানো ট্র্যাকিং ডিভাইস থেকে পাওয়া তথ্য সেনাবাহিনীর কাছে পাঠান। পরে ওই এলাকায় গিয়ে চারটি মরদেহ পাওয়া যায়। অন্য একটি ইগল ইসরায়েলের ভেতরে আরো কয়েকটি মরদেহ খুঁজতে সহায়তা করেছে। তথ্যসূত্র : এএফপি।